ওয়েবের ২৫ বছর
আপডেট: ০২:৩২, আগস্ট ০৮, ২০১৬
| প্রিন্ট সংস্করণ
প্রথম
ওয়েবসাইট চালুর ২৫ বছর পূর্ণ হয় চলতি বছরের ৬ আগস্ট। ব্রিটিশ কম্পিউটার
বিজ্ঞানী স্যার টিম বার্নার্স-লির হাতে ২৫ বছর আগে তৈরি সাদামাটা নকশার
প্রথম সেই ওয়েবসাইটটি ছিল নতুন যুগের শুরু। এই ২৫ বছরের ওয়েবের
গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা এখানে তুলে ধরা হলো।
১২ মার্চ ১৯৮৯: ইউরোপীয় পারমাণবিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সার্নে কর্মরত অবস্থায় ব্রিটিশ কম্পিউটার বিজ্ঞানী স্যার টিম বার্নার্স-লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ধারণা উপস্থাপন করেন তাঁর ‘ইনফরমেশনাল ম্যানেজমেন্ট প্রপোজাল’ গবেষণাপত্রে। তাঁর লেখা প্রোগ্রামিং সংকেত সবার জন্য প্রকাশ করেন ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর।
৬ আগস্ট ১৯৯১: সার্নের ডোমেইন নেমে বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইট চালু করেন টিম বার্নার্স-লি।
১৯৯৩: মার্ক অ্যান্ডারসনের নেতৃত্বে ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েসের এক দল গবেষক ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার হিসেবে প্রথম মোজাইক তৈরি করেন। এই সফটওয়্যারের জন্যই সবার মধ্যে ওয়েবের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। মোজাইকের ওপর ভিত্তি করেই ১৯৯৪ সালে তৈরি হয় আরেক বাণিজ্য-সফল ব্রাউজার নেটস্ক্যাপ।
১৯৯৪
* চীনে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়। সেই তখন থেকেই বিষয়বস্তুর ওপর তাদের নজরদারির শুরু।
* যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইট চালু হয়।
১৯৯৫: উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজার উন্মোচন করে মাইক্রোসফট। প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে নেটস্ক্যাপের বিদায়। চালু হয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইবে।
১৯৯৬: ফিনল্যান্ডভিত্তিক মোবাইল ফোন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান নকিয়া ইন্টারনেট সংযোগসহ প্রথম মুঠোফোন বাজারে ছাড়ে।
১৯৯৮
* যাত্রা শুরু করে গুগল। সার্চ ইঞ্জিনের লড়াইয়ে দ্রুত এগিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি।
* ওয়েব ডোমেইন সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র সরকার থেকে ইন্টারনেট করপোরেশন ফর অ্যাপ্লাইড নেমে অ্যান্ড নার্ভাস (আইমান) নামের প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
২০০০: বিশ্বব্যাপী লাখো কম্পিউটারে ‘আই লাভ ইউ’ নামের ইন্টারনেট ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে কোটি কোটি ডলারের ক্ষতি হয়। সে থেকেই ইন্টারনেটে নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
২০০১: মার্কিন আদালতের আদেশে অনলাইনে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে গান ভাগাভাগি করার সেবা ন্যাপস্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২০০৫: ইন্টারনেটে যুক্ত মানুষের সংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যায়।
২০০৭: অনলাইনে প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করে এস্তোনিয়া।
২০১২
* ই-কমার্স লেনদেনের পরিমাণ এক লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।
* সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটিতে পৌঁছায়।
* ইন্টারনেটের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ বেশি এমন অভিযোগ এনে চুক্তিপত্রে সই করে জাতিসংঘের ৮৯টি সদস্যদেশ। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫৫টি দেশ তা প্রত্যাখ্যান করে। প্রত্যাখ্যানের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, এতে ইন্টারনেটের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ বেড়ে যাবে।
২০১৩: বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ, অর্থাৎ ২৭০ কোটি মানুষ ইন্টারনেটে যুক্ত হয়। ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভাষার তালিকায় ইংরেজিকে ছাড়িয়ে চায়নিজ ওপরে উঠে আসে।
২০১৪: ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৪০ শতাংশ জানায়, তাদের ভালোবাসার সম্পর্কে ইন্টারনেটের প্রভাব গুরুতর।
সূত্র: এএফপি
http://www.prothom-alo.com/
https://web.facebook.com/yousuf7181/
১২ মার্চ ১৯৮৯: ইউরোপীয় পারমাণবিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সার্নে কর্মরত অবস্থায় ব্রিটিশ কম্পিউটার বিজ্ঞানী স্যার টিম বার্নার্স-লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ধারণা উপস্থাপন করেন তাঁর ‘ইনফরমেশনাল ম্যানেজমেন্ট প্রপোজাল’ গবেষণাপত্রে। তাঁর লেখা প্রোগ্রামিং সংকেত সবার জন্য প্রকাশ করেন ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর।
৬ আগস্ট ১৯৯১: সার্নের ডোমেইন নেমে বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইট চালু করেন টিম বার্নার্স-লি।
১৯৯৩: মার্ক অ্যান্ডারসনের নেতৃত্বে ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েসের এক দল গবেষক ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার হিসেবে প্রথম মোজাইক তৈরি করেন। এই সফটওয়্যারের জন্যই সবার মধ্যে ওয়েবের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। মোজাইকের ওপর ভিত্তি করেই ১৯৯৪ সালে তৈরি হয় আরেক বাণিজ্য-সফল ব্রাউজার নেটস্ক্যাপ।
১৯৯৪
* চীনে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়। সেই তখন থেকেই বিষয়বস্তুর ওপর তাদের নজরদারির শুরু।
* যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইট চালু হয়।
১৯৯৫: উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজার উন্মোচন করে মাইক্রোসফট। প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে নেটস্ক্যাপের বিদায়। চালু হয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইবে।
১৯৯৬: ফিনল্যান্ডভিত্তিক মোবাইল ফোন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান নকিয়া ইন্টারনেট সংযোগসহ প্রথম মুঠোফোন বাজারে ছাড়ে।
১৯৯৮
* যাত্রা শুরু করে গুগল। সার্চ ইঞ্জিনের লড়াইয়ে দ্রুত এগিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি।
* ওয়েব ডোমেইন সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র সরকার থেকে ইন্টারনেট করপোরেশন ফর অ্যাপ্লাইড নেমে অ্যান্ড নার্ভাস (আইমান) নামের প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
২০০০: বিশ্বব্যাপী লাখো কম্পিউটারে ‘আই লাভ ইউ’ নামের ইন্টারনেট ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে কোটি কোটি ডলারের ক্ষতি হয়। সে থেকেই ইন্টারনেটে নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
২০০১: মার্কিন আদালতের আদেশে অনলাইনে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে গান ভাগাভাগি করার সেবা ন্যাপস্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২০০৫: ইন্টারনেটে যুক্ত মানুষের সংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যায়।
২০০৭: অনলাইনে প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করে এস্তোনিয়া।
২০১২
* ই-কমার্স লেনদেনের পরিমাণ এক লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।
* সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটিতে পৌঁছায়।
* ইন্টারনেটের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ বেশি এমন অভিযোগ এনে চুক্তিপত্রে সই করে জাতিসংঘের ৮৯টি সদস্যদেশ। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫৫টি দেশ তা প্রত্যাখ্যান করে। প্রত্যাখ্যানের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, এতে ইন্টারনেটের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ বেড়ে যাবে।
২০১৩: বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ, অর্থাৎ ২৭০ কোটি মানুষ ইন্টারনেটে যুক্ত হয়। ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভাষার তালিকায় ইংরেজিকে ছাড়িয়ে চায়নিজ ওপরে উঠে আসে।
২০১৪: ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৪০ শতাংশ জানায়, তাদের ভালোবাসার সম্পর্কে ইন্টারনেটের প্রভাব গুরুতর।
সূত্র: এএফপি
http://www.prothom-alo.com/
https://web.facebook.com/yousuf7181/
No comments:
Post a Comment